#সকল_সমস্যার_সমাধান_দিতে_পারে_আল_কুরআন
  সকল সমস্যার সমাধান দিতে পারে আল কুরআন। পৃথিবীর সকল মানুষ কোন না কোন ডিপ্রেসন অথবা টেনশনে ভুগে থাকে।আর এ সকল সমস্যা দূর করার জন্য পবিত্র কুরআন এবং হাদিসে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা দয়া করে সমাধানের কিছু উপায় বলে দিয়েছেন।যদি আমরা আমাদের জীবনে এই কথাগুলো বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে আমরা টেনশন মুক্ত থেকে জীবনকে অনেক সুন্দর করতে পারব। ১. তাকদীরের উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস রাখুন কেননা যে ব্যক্তি বিশ্বাস করে যে সকল বিষয় লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে আল্লাহ না চাইলে কেউ কারো কোন ক্ষতি করতে পারে না সে ব্যক্তি কে দুশ্চিন্তা কাবু করতে পারেনা। রাসূলুল্লাহ সল্লাললাহু সাল্লাম উম্মতকে এই শিক্ষাই দিয়েছেন যে তিনি বলেন জেনে রাখ সমস্ত মানুষ যদি তোমার কোন উপকার করতে চায় তবে আল্লাহ তোমার জন্য যা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন তা ব্যতীত আর কোন উপকার করতে পারবে না আর যদি মানুষ তোমার কোন অনিষ্ট করতে চায় তবে আল্লাহ তোমার জন্য যা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন তা ব্যতীত আর কোন অনিষ্ট করতে পারবে না। কলম তুলে নেওয়া হয়েছে এবং পৃষ্ঠা শুকিয়ে গেছে সুবহান আল্লাহ। অপর হাদিসে এসেছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন, মনে রেখো যা তুমি পেলে না তা তোমার পাবার ছিলনা আর যা তুমি পেলে তা তুমি না পেয়ে থাকবে না। আর জেনে রেখ ধৈর্যধারণের ফলে আল্লাহর সাহায্য পাওয়া যায়কষ্টের পর সাচ্ছন্দ আসে এবং কঠিন অবস্থার পর সচ্ছলতা আসে। ২. দুনিয়ার মুছিবত কোন বড় মুছিবত নয় বরং সবচেয়ে বড় মুসিবত হলো আখিরাতের মুসিবত। সুতরাং চিন্তার কেন্দ্রবিন্দু দুনিয়াকে না বানিয়ে আখিরাতকে বানান। এখন থেকে এভাবে চিন্তা করুন আমি আল্লাহর সন্তুষ্টি নিয়ে আখিরাতে তার সামনে দাড়াতে পারবতো? ।রাসুলউল্লাহ (স) বলেছেন যে ব্যাক্তি তার সমস্ত চিন্তা আখিরাতের চিন্তায় কেন্দ্রিভুত করেছেন আল্লাহতার দুনিয়ার চিন্তার জন্য যথেষ্ট। অপরদিকে যে ব্যাক্তি পৃথীবির চিন্তায় মগ্ন থাকবে সে যেকোন উন্মুক্ত মাঠে ধ্বংস হোক তাতে আল্লাহর কোন যায় আসেনা । ৩. যে ব্যাক্তির অবস্থা আপনার চেয়ে আরো বেশি খারাপ তার থেকে উপদেশ গ্রহন করুন।এবং ভাবুন তার চেয়ে আপনাকে আল্লাহ অনেক ভাল রেখেছেন। এখন মনো বিজ্ঞানিরা ডিপ্রেশনের চিকিৎসায় রোগীকে এভাবে ভাবতে বলেন। যদি কেউ ঋণগ্রস্থ হয় বলা হয় তোমার চাইতে অবস্থা যার আরো খারাপ তার দিকে তাকাও তুমি সুস্থ তোমার চেয়েও অসুস্থ আছে তুমি অসহায় তোমার চেয়েও অসহায় আছে তুমি ঋণগ্রস্ত তোমার চেয়েও ঋণগ্রস্ত আছে এভাবে চিন্তা করুন দেখবেন অস্থিরতা লাঘব হবে যদিও মনোবিজ্ঞানীরা আজকাল এগুলো বের করেছেন তাদের গবেষণা মাধ্যমে অথচ আমাদের রাসূল (স)আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে মনোবিজ্ঞানের এই সকল দিক নির্দেশনা দিয়েছেন । ৪. আল্লাহর উপর পুরোপুরি তাওয়াক্কুল রাখুন তিনি আপনার সকল সমস্যার সমাধান করে দিবেন।আল্লাহ তায়ালা বলেন – যে ব্যাক্তি পুরোপুরিভাবে আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে আল্লাহ ই তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যায় । ৫নবীজি (সঃ) আরো বলেন- যে ব্যাক্তি আমার উপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করবে তার দুনিয়াবি সকল সমস্যা দুর হয়ে যাবে।জীবনের যে কোন সমস্যায় আল্লাহর নিকট নামাজের মাধ্যমে দোয়া করতে হবে।কেননা নবীজি (সঃ) যে কোন সমস্যায় পড়লে নামাজে দাড়িয়ে যেতেন। পরিশেষে বলা যায় জীবনের সমস্যাগুলি যেন রাতের অন্ধকারের মত কোন এক সময় দূর হয়ে যাবে। ;
0 Comments